spot_img

রাজধানীর মিরপুরে নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ছেলে

অবশ্যই পরুন

রাজধানীর মিরপুরের মানিকদি এলাকার নামাপাড়ায় স্বামী আর দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করতেন রোকেয়া বেগম। স্বামী ঘোড়াশাল পাওয়ার হাউজের ডেপুটি ডিরেক্টর এস এম মোহাম্মদ আলী ছিলেন কর্মস্থলে। মা আর বড় ভাইকে বাড়িতে রেখে ছোট ছেলে মসজিদে যান তারাবিহর নামাজে। এসে দেখেন মা রোকেয়া বেগম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত-মৃত।

পুলিশ এসে পুরো বাড়ি তল্লাশি চালায়, মৃতদেহ ঘিরে ক্রাইমসিন চিহ্নিত করে সংগ্রহ করে আলামাত। কিন্তু বিস্ময়করভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই রোকেয়া বেগমের পরিবারের।

বাসায় যখন পুলিশ, সাংবাদিক ও অগণিত উৎসুক মানুষের আনাগোনা, তখন কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে বড় ছেলে আব্দুর রহমান রনি। তার আচরণ অস্বাভাবিক। পরিবারের দাবি, রনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

পুলিশের ধারণা, নেশার টাকার চাহিদা পূরণ না হওয়ায়, নামাজরত মায়ের ওপর হামলা চালায় মানসিক ভারসাম্যহীন রনি। উদ্ধার করা হয়েছে রনির রক্তমাখা পোশাক, বটি ও ছুরি। রনিকে আটক করেছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে এলোমেলো তথ্য দিলেও, মায়ের কাছে সিগারেট চাওয়া এবং মা সেটা না দেয়ার কথা স্বীকার করে রনি। রনির দুই হাতেই দেখা যায় আঁচড় ও কেটে যাওয়া ক্ষত।

রনির পরিধেয় রক্তমাখা গেঞ্জি ও ট্রাউজার, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি ও ছুরি জব্দ করেছে পুলিশ। একই সাথে তার ঘর আর টয়লেটের দরজার হাতলে ও পরনের স্যান্ডেলে পাওয়া গেছে রক্তের দাগ।

সুরতহাল ও আলামত সংগ্রহ শেষে রোকেয়া বেগমের মরদেহ নেয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যদিও এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দিতে নারাজ পুলিশ।

এ ব্যাপারে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি মো. শাহিনুর রহমান বলেন, ভবনের কেউ একজন ট্রিপল নাইনে ফোন করে আমাদের বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। রান্নাঘর থেকে রক্তমাখা বটি ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ