দুই ইনিংসে ফিফটি করে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ট্র্যাভিস হেড। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠে গেছে তার হাতেই। তবে প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হতে পারতেন ৫৩ রানে। প্রথম ইনিংসে তার ক্যাচ দিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। ইনিংসের ৪৫তম ওভারে আল্ট্রা-এজে স্পষ্ট এজ থাকলেও বল হাতে পৌঁছেছে কি না তা ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ না থাকায়’ নিশ্চিত হয়নি।
আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে একই রকম একটি পরিস্থিতি থেকে আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক আউটের সিদ্ধান্ত দেন রস্টন চেজের বিরুদ্ধে। সে ইনিংসে শেই হোপের আউট নিয়েও বিতর্ক আছে। অ্যালেক্স ক্যারি তার ক্যাচটা যখন নিলেন, বলটা মাটি ছুঁয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ব্রিজটাউন টেস্টে আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্তগুলোর কারণে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ক্ষোভ ঝরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন অধিনায়ক রস্টন চেজের কণ্ঠে। ইংল্যান্ডের ব্রুস অক্সেনবরো ও ভারতের নিতিন মেননের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে চেজ বলেন, খেলোয়াড়দের যদি ছোটখাটো ভুলের জন্যও বড় ধরনের শাস্তি পেতে হয়, তবে ম্যাচ কর্মকর্তাদের (আম্পায়ার ও রেফারি) ভুলের পরেও কেন কোনো জবাবদিহি থাকে না?
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে যদি আমরা কোনো ভুল করি, কিংবা এমন কিছু করি যা মানুষ পছন্দ করে না, আমাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আম্পায়ারদের কিছুই হয় না। তারা ভুল সিদ্ধান্ত নেয় বা সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত দেয়, তারপর সবকিছু আগের মতোই চলতে থাকে। এটা আমার কাছে খুবই অন্যায় মনে হয়।’
‘এখানে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারের প্রশ্ন জড়িত। একটা বাজে সিদ্ধান্তে কারও ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি, মাঠে খেলোয়াড়রা যেভাবে শাস্তি পায়, তেমনি স্পষ্ট ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আম্পায়ারদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত’-যোগ করেন চেজ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর এখন ক্যারিবিয়ানদের চোখ দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। আগামী ৩ জুলাই সেন্ট জর্জেসে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।