পাকিস্তানে সন্ত্রাস-বিরোধী বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে চালানো পৃথক এই অভিযানে কমপক্ষে ১৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্য। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাতমাধ্যমটি বলছে, সোমবার পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কে-পি) প্রদেশে পুলিশ, কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর অন্তত ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, মিয়াঁওয়ালি জেলার মাকরওয়াল এলাকায় পুলিশ-সিটিডির যৌথ অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে আরও ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
মিয়াঁওয়ালি জেলার পুলিশ সুপার (ডিপিও) আখতার ফারুক ও সারগোদা রেঞ্জের আরপিও শাহজাদ আসিফ খানের নেতৃত্বে এই অভিযানে ২০-৩০ জন জঙ্গির উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে দুদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়।
এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য হতাহত হয়নি। তবে এক স্থানীয় ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজমাক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অভিযানে নিহত হয়েছেন জঙ্গি নেতা জাবি উল্লাহ ওরফে জাকরান। তিনি বহু সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর “মোস্ট ওয়ান্টেড” তালিকায় ছিলেন।
উল্লেখ্য, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।