হোয়াইট হাউজে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সৌদি আরবের যুবরাজ দুই দেশের সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ফিলিস্তিন প্রশ্নে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন সৌদি আরব।
এ সময় রিয়াদের কাছে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান কিছু জানতেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও যুবরাজ সালমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালমানকে স্বাগত জানাতে ছয়টি যুদ্ধবিমানের ফ্লাইওভার আয়োজন করা হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি যুবরাজকে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করার আহ্বানও জানান।
ট্রাম্প বলেন, “সৌদি যুবরাজ আমার বহুদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু তিনি আমার বন্ধু, তাই বিনিয়োগকে ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করার অনুরোধ করবো।”
খাশোগি হত্যাকাণ্ড বিষয়ে ট্রাম্পের দাবি—ঘটনার সঙ্গে যুবরাজ সালমানের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। সালমানও জানান, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে কঠোর নজর রাখা হয়েছে।
যুবরাজ বলেন, “যদি জামাল খাশোগি অন্যায়ভাবে কিংবা আইনভঙ্গ করে নিহত হয়ে থাকেন, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সৌদি সরকার নির্ভুল তদন্তের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল আর না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না—প্রশ্নের জবাবে সালমান জানান, সৌদি আরব এই চুক্তিতে আগ্রহী, তবে আগে ফিলিস্তিনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের নিশ্চয়তা প্রয়োজন।
ট্রাম্প আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি বিষয়ে বৈঠকে অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া মার্কিন এআই চিপ সৌদি আরবে বিক্রি নিয়েও আলোচনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।