হোক সেটা প্রীতি ম্যাচ, রোনালদোর কাছে প্রতিটি ম্যাচই যেন যুদ্ধের ময়দান। বয়স তার কাছে শুধুই একটি সংখ্যা। বারবার প্রমাণ করে চলেছেন, কেন তিনি এখনো বিশ্ব ফুটবলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মাঠে নামলেই যেন জ্বলে উঠছেন নতুন উদ্যমে। ক্লাব কিংবা দেশের জার্সি, গোলের ক্ষুধা তার থেমে নেই এক মুহূর্তের জন্যও। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। অস্ট্রিয়ায় অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে আবারও গোল করে আলো ছড়ালেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
বাংলাদেশ সময় গত রাতে অস্ট্রিয়ার আন্টার্সবার্গ অ্যারেনাতে ক্লাব প্রীতি ম্যাচে ফরাসি ক্লাব তুলুজের মুখোমুখি হয়েছে আল নাসর। এই ম্যাচে তুলুজ হেরেছে ২-১ গোলে। ২৫ মিনিটে তুলুজ মিডফিল্ডার ইয়ান বোহো করেন ম্যাচে প্রথম গোল। কিন্তু যে দলে রোনালদো আছেন, সেই দল পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিততে জানে। ৩৩ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন রোনালদো। প্রতিপক্ষের রক্ষণ দুর্গ ভেদ করে আল নাসর ফরোয়ার্ড ওয়েসলি এগিয়ে যান। পরে তাঁর পাস রিসিভ করে রোনালদো যে বুলেট গতির শট করেছেন, সেটা ঠেকানোর সাধ্য ছিল না তুলুজ গোলরক্ষক গুইলাম রেস্টেসের।
প্রীতি ম্যাচ জয়ের পর রোনালদো এক রকম হুংকার ছুড়েছেন। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে গোলের পর তাঁর সেই চিরপরিচিত ‘সিউ’ উদযাপন। ক্যাপশনে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘এই ক্ষুধা কখনো কমবে না। এখনো অনেক কাজ করার বাকি। আমরা কেবল শুরু করেছি।’
রোনালদো অবশ্য গত রাতের ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন। তবে তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ হোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে ঠিকঠাক বোঝাপড়া না হওয়ায় দ্বিতীয় গোলটা পাননি রোনালদো। অথচ বাঁ প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে পা ছোঁয়ালেই রোনালদো, ফেলিক্সের যে কেউই গোলটা করতে পারতেন। আল নাসরের দ্বিতীয় গোলটা করেছেন মোহামেদ মারান। ৭৬ মিনিটে নাওয়াফ বুশাল প্রথমে ক্রস রিসিভ করেন। সেই ক্রস রিসিভ করে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারান।
আল নাসরের আরও একটি প্রীতি ম্যাচ রয়েছে সামনে। সেই ম্যাচে রোনালদোদের প্রতিপক্ষ আলমেরিয়া। ১০ আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় আলমেরিয়ার পাওয়ার হর্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে আলমেরিয়া-আল নাসর প্রীতি ম্যাচ। এরপর ১৯ আগস্ট সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে খেলবে আল নাসর। সবশেষ ২০২৪-২৫ মৌসুমে আল নাসরের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ গোল করেন রোনালদো। ক্লাবটির হয়ে ২০২৩ থেকে খেলছেন তিনি। আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ ছাড়া আর কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি আল নাসরের হয়ে। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১০০০ গোলের মাইলফলকের লক্ষ্যে যে দুর্বার গতিতে তিনি এগোচ্ছেন, সেটাও হয়ে যেতে পারে।