এলি কোহেন একজন মোসাদের গুপ্তচর। ১৯৬২ সালে সিরিয়ার দামেস্কে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন। বিলাসবহুল জমকালো পার্টি দিয়ে জিতে নেন মানুষের হৃদয়। পৌঁছে যান ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছাকাছি। মূলত এভাবেই তিনি নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।
তার জন্ম ১৯২৪ সালে মিশরের আলেক্সজান্দ্রিয়াতে। তার পরিবার মিশরীয় ইহুদি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হলে কোহেনের পরিবার মিশর ছেড়ে চলে আসে। ১৯৫৭ সালে জায়ানবাদী কার্যক্রমে জড়িয়ে কোহেন মিশরীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে আসতে সহযোগিতা করে। পরবর্তীতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করার পর তাকে ১৯৬০ সালে মোসাদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিন বছর পর দামেস্কের কেন্দ্রে মারজে স্কয়ারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হয়। কারণ এলি কোহেনের আসল পরিচয় ততোদিনে জেনে যায় সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এরিমধ্যে ৫৯ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও তার দেহবশেষ ফেরত চায় ইসরায়েল। কারণ, মোসাদের অত্যন্ত চৌকস সদস্যদের একজন ছিলেন এলি কোহেন। ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছিলেন তিনি।
মোসাদে যোগ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাম বদলে হন কামাল আমিন থাবেত। বরাবরই এই গোয়েন্দা সদস্যের দেশবশেষ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় সিরিয়া।
সূত্র: এনডিটিভি