spot_img

ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা উদ্ধার

অবশ্যই পরুন

ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে নৌকাডুবির পর শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা ফয়সাল রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

ফয়সাল রহমান বলেন, আমরা ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব আচেহ সরকার থেকে মোট ১১৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধারের তথ্য পেয়েছি। এই শরণার্থীরা এখনো সমুদ্র সৈকতেই রয়েছেন। উদ্ধারের পর রোহিঙ্গাদের কোথায় নেয়া হবে ওই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

ইউএনএইচসিআরের এই কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর-পূর্ব সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী কাঠের নৌকাটি অর্ধ-নিমজ্জিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় জেলে সাইফুদ্দিন তাহের বলেন, শনিবার সকালে নৌকাটিকে প্রথমে পূর্ব আচেহর জলসীমায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর নৌকাটি প্রায় ডুবে যায়।

তিনি বলেন, নৌকাটি সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একজন অসুস্থ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নৌকাটি সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে পানিতে প্রায় তলিয়ে গেছে। শরণার্থীরা নিরাপদে তীরে ফিরেছেন।

সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের পৌঁছানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কারণ, ওই সময় সমুদ্র তুলনামূলক শান্ত থাকায় রোহিঙ্গারা নৌকায় করে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় যান।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে রোহিঙ্গাবিরোধী মনোভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভও করেছেন সাধারণ মানুষ। গত মাসে দক্ষিণ আচেহ জেলার উপকূলে একটি নৌকায় প্রায় ১৫২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী কয়েকদিন ধরে ভাসছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তবে দেশটিতে শরণার্থীরা পৌঁছালে তাদের আশ্রয় দেয়ার ইতিহাস রয়েছে।

সূত্র : এএফপি

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাইয়ের বিপ্লবী কন্যাদের কথা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের কীর্তিগাঁথা ও অবদানকে উপজীব্য করে ‘জুলাইয়ের কন্যারা... আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শীর্ষক নারী সমাবেশে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ