চিকিৎসক মশলাদার খাবার খেতে মানা করেছে? আমরা প্রাত্যহিক জীবনে ফ্যাট ও লবণযুক্ত খাবার খেতে এত বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যে, হুট করে এসব স্বাদ খাবারে না থাকলে জীবনটাই পানসে মনে হয়। তবে হ্যাঁ, ব্যাপারটা কিন্তু এতোটাও কঠিন নয়।
একটু চেষ্টা করলেই মশলা ছাড়া খাবার খেতে পারবেন আপনি। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু স্বাস্থ্যকর হার্ব ও মশলা।
স্বাস্থ্যকর মশলা ব্যবহার করুন : এমন অনেক মশলা ও স্বাদ আছে যা স্বাস্থ্যকর। সেগুলো বেশি বেশি করে খাবারে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে বাসিল, অরেগানো ও থাইমের মতো খাবারগুলো খেতে পারেন আপনি। একদিকে গুঁড়ো মরিচ আর রসুনের ঝাঁজ যেমন খাবারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে, তেমনই আদা, গোলমরিচ, জিরা ইত্যাদি দেবে খানিকটা ঝালমিষ্টি ভাবও।
বাইরে খাওয়ার সময় কোনো একটি স্বাদ আপনার অনেক ভালো লেগেছে? কোন উপাদানটি সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্যকর কিছু হলে পরবর্তীকালে তা নিজের খাবারেও ব্যবহার করতে পারেন।
সাইড ডিশেও নজর দিন : মূল খাবার যদি হয় মজাদার মাংস বা মাছ, তার পাশাপাশি খুব পানসে খেতে এক বাটি সবজি আপনাকে মোটেও সন্তুষ্ট করবে না। আপনার মজার খাবারের স্বাদকেও একেবারেই কমিয়ে দিতে পারে এটি। তাই, যতটা মনোযোগ আর চিন্তা মূল খাবারে দিয়েছেন, ততটা সাইড ডিশেও দিন। এতে করে পুরোটা মিলে আপনার রসনা পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
স্যুপ বানান নিজেই : দোকান থেকে কিনে বানানো স্যুপের চাইতে নিজের বানানো স্যুপটাই বেশি মজার হতে পারে, যদি আপনি একটু স্বাস্থ্যকর উপাদান তাতে মিশিয়ে নেন। শুধু যে স্বাদে ভালো তা নয়, একই সঙ্গে আপনার কাছে পুরো ব্যাপারটি সহজও মনে হবে অনেক বেশি। আপনার দরকারি উপাদানগুলো সেদ্ধ করে সেটা ভালো করে পিষে নিন। স্যুপ তৈরির সময় তাতে খানিকটা লেবুর রস, হার্ব এবং পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে দিন। দেখবেন, অন্যান্য স্যুপের চাইতে নিজের হাতে বানানো স্যুপ খেতেই বেশি ভালো লাগছে আপনার।
বাদাম মিশিয়ে নিন : বাদাম এমনিতে খেতে বেশ ভালো। তবে, এটি রান্না করা খাবারেও অনেক ভালো স্বাদ যোগ করতে পারে। থাই, চাইনিজ ও আফ্রিকান খাবারের স্বাদ বাড়াতে রান্নার সময় পেস্তা, কাঠবাদাম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বাদাম ভাজার পর সেটির স্বাদ একরকম হলেও, বাদামের খানিকটা গুঁড়ো রান্নায় অন্যমাত্রা নিয়ে আসে। তাই, নানারকম খাবারে মশলা ও স্বাদ বাড়ানোর উপায় হিসেবে বাদাম গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
চা ব্যবহার করুন : সকালে বা দুপুরে খাওয়ার পর এক কাপ চা নিশ্চয় পান করেছেন। কিন্তু কখনো এই চা আপনার খাবারে, রান্নার সময় ব্যবহার করেছেন কি? চায়ের অসাধারণ স্বাদ অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে এবং ভিন্ন স্বাদ যোগ করতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে, শক্তিশালী ও উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ায় গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি যে কোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এতে স্বাদের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারবেন সহজেই।
এতশত খাবার ডাক্তার খেতে মানা করেছেন যে, কোন খাবারটি খাবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না? খাবারের নিষেধাজ্ঞা যদি মশলার কারণেই হয়, তাহলে উপরের কৌশলগুলো আপনাকে সাহায্য করবে। শরীরকে সুস্থ রেখে প্রাকৃতিকভাবে, স্বাস্থ্যকর উপায়েই মুখরোচক খাবার খেতে পারবেন আপনি।