মিয়ানমারে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে চলমান জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহত তরুণীর মরদেহে হাজারো মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী শহর নেপিদোতে মিয়া থিউ থিউ খাইং নামে ওই কিশোরীর শেষকৃত্যে মানুষের ঢল নামে।
ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুর দিকে ২০তম জন্মদিনের আগেই মিয়া থিউ খাইংকে গুলি করা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে নিহত তিনজনের মধ্যে ওই তরুণী ছিল প্রথম।
নিহত তরুণীকে শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তায় হাজারো মানুষ লাইন দেয়। কিছু মানুষ তাকে তিন আঙুলের স্যালুট প্রদর্শন করে। মিয়ানমারের স্বৈরশাসন বিরোধী সামরিক শাসনকে প্রত্যাখ্যান এবং গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রতীক হিসেবে এর আগে বিক্ষোভকারীরা তিন আঙুল প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেনাবাহিনী নতুন নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছে। যদিও প্রতিবাদকারীরা সেনাবাহিনীর আশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে।
বিবিসি নিউজের খবরে আরও দাবি করা হয়, জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে নিহত মিয়া থিউ খাইং পেশায় সুপারমার্কেট কর্মী ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গুলি করলে তার মাথায় গুলি লাগে। ১০দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত শুক্রবার তিনি মারা যান।
নিহত তরুণী খিয়াং জান্তাবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে তার ছবি প্রদর্শনে করা হচ্ছে।