spot_img

গরমে স্বস্তি পেতে এই কাজগুলো করুন

অবশ্যই পরুন

‘রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন, আরাম নাহি যে জানে রে..’ রবীন্দ্রনাথের এই বাণীতে স্পষ্ট বোঝা যায় প্রকৃতির বিরূপতা। গরমে একটু আরাম পেতে শরীর-মন যেন অস্থির হয়ে ওঠে।

দিন দিন বাড়ছে গরমের তীব্রতা। হঠাৎ একপশলা বৃষ্টিও যেন ফিরিয়ে আনতে পারছে না স্বস্তি। প্রকৃতি যেন ইদানিং আরো নিষ্ঠুর হয়ে পড়ছে। তার জন্য দায়ী আমরাই। তারপরও নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। কিছু ভুল কাজ গরম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার কিছু কাজ আছে যেগুলো করলে গরমের অনুভূতিটা কম লাগবে, তীব্র গরমেও পেতে পারি স্বস্তি।

চলুন জেনে নিই, তীব্র গরমে আরাম পেতে কী কৌশল অবলম্বন করা যায়-

খাবার সচেতনতা

গরমে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো আমাদের গরমের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে গরম কম লাগবে। তাই সবার আগে সেই খাবার বেছে নিন, যেগুলো আপনাকে স্বস্তি দেয়। গরমে ভারী ও মসলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে খেতে হবে হালকা খাবার । যেসব খাবার সহজে হজম হয় সেগুলো বেছে নিতে হবে। এতে শরীর কিছুটা স্বস্তি অনুভব করবে।

শরবত
প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই পানি পানে হতে হবে আরও সচেতন। প্রতিদিন গড়ে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঙ্গে পানির বোতল রাখার অভ্যাস অবশ্যই করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান না করলে ডায়রিয়ার মতো অন্যান্য রোগেও ভোগাতে পারে আমাদের।

বাইরের ভাজাপোড়া, কিংবা পানীয় পান না করাই ভালো। গরমে অনেকে রাস্তার পাশ থেকে শরবত কিনে খায়। এমনটা করা যাবে না। কারণ সেসব শরবত বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি করা হয় না। থাকে নানা রোগ-জীবাণুর ভয়। বাইরে বের হওয়ার সময়, ওষধ, এক বোতল পানি, শরবত বা সালাইন সাথে রাখা জরুরি। যতটা সম্ভব মৌসুমি ফল খাওয়ার চেষ্টা করা এবং পাশাপাশি খাবারের তালিকায় টকদই, দুধ, লেবু, শসা, শাক-সবজির মতো খাবার রাখতে হবে। এতে হজমক্রিয়া যেমন ভালো থাকবে তেমনি গরমের এ সময়েও সুস্থ থাকা যাবে । পুদিনা পাতা পানি শূন্যতা রোধে সহায়ক।

পোশাক সচেতনতা

গরমের সময় প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে। তাই পোশাক নির্বাচনে হতে হবে সচেতন। ঢিলেঢালা, সুতি, খাদি এবং হালকা রঙের কাপড় হতে পারে এ গরমের সবচেয়ে আরামদায়ক। ফুলহাতা জামা না পরে হাফহাতা পরা যেতে পারে। রঙের ক্ষেত্রে সাদা, ধূসর, হালকা সবুজ কিংবা হালকা গোলাপি রং বেছে নেওয়ায় উত্তম। ফ্যাশন বা স্টাইল যাই বলি না কেন, আবহাওয়ার সাথে মানানসই ও আরামদায়ক পোশাকই সবচেয়ে বড় আধুনিকতা বা ট্রেন্ড।

সানগ্লাস
ব্যাগে সব সময় ফোল্ডিং ছাতা, পানির বোতল, টিস্যু এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা খুবই জরুরি। এতে করে গরম থেকে যেমন নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে তেমনি হাতের কাছে প্রয়োজনে পাওয়া যাবে সবকিছুই। গরমের এ সময়ে কালো রঙের ছাতা না নিয়ে হালকা রঙের কাপড়ের ছাতা নেওয়া ভাল। এতে নিজেকে সব সময় রাখা যাবে ছায়াতে। আর হ্যাঁ, রোদ চশমা সাথে রাখা অতিব জরুরি।

সবুজে স্বস্তি

পড়ার টেবিল, অফিসের ডেস্ক বা বেলকনিতে নান্দনিক টবে সতেজ-সবুজ কিছু পাতা বাহারের গাছ রাখলে মনে প্রশান্তি জাগাবে।

গোসল

শরীর শীতল রাখতে গোসলের বিকল্প নেই। তাই দিন শুরুতেই এই কাজটি সেরে ফেলা উচিত। এতে মনও প্রফুল্ল থাকবে। গোসলের মাধ্যমে শরীরের অনেক রোগ-জীবাণুও চলে যায়। ঠান্ডা লাগার ভয় না থাকলে একাধিকবার গোসল করলেও ক্ষতি নেই। এতে গরম অনেকটাই কম অনুভূত হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম

গরমের সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যদিও তীব্র গরমে নির্বিঘ্নে ঘুমই বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যুৎ বিভ্রাটও এক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ঘর যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। হালকা রঙের পরিষ্কার বিছানার চাদর, বালিশের কভার বেছে নেওয়া। ঘুমের আগে গোসল করে নিলে ঘুম ভালো হবে।

মেডিটেশন

সচেতনভাবে মনসংযোগের মাধ্যমে দেহ-মন এবং মস্থিষ্ককে শিথিল করে আমরা অস্থিরতা বা গরম থেকে কিছুটা হলেও আরাম পেতে পারি। মেডিটেশন বা ধ্যানের মাধ্যমে অনেককিছুই সম্ভব। মানসিকভাবে ধীরস্থির থাকতে হবে জীবনের যে কোন পরিস্থিতিতে।

প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াই জীবন। তাই সুন্দর ও সজীব থাকতে জীবনে কিছু কৌশল বা নিয়ম মেনে চলতেই হবে। জীবন সুন্দর!

সর্বশেষ সংবাদ

পরমাণু কর্মসূচি বাড়াতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিলেন কিম জং উন

পরমাণু কর্মসূচি জোরদারে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ