spot_img

ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথিতে রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা

অবশ্যই পরুন

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো একটি স্নায়ুবিক রোগ যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা হিসাবে দেখা যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কয়েক ধরণের হতে পারে যেমন পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, অটোনমাস নিউরোপ্যাথি, ফোকাল নিউরোপ্যাথি, প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি ইত্যাদি।

লক্ষণ
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: এটি সাধারণত হাত ও পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং অসাড়তা বা অবশ ভাব, ঝিনঝিন ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।

অটোনমাস নিউরোপ্যাথি: এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমনঃ হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মূত্রাশয় এবং অন্ত্র। লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, হজমে সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা  বা অতিরিক্ত ঘাম, যৌন সমস্যা, রুচি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি: এটি শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় যেমনঃ মুখ, হাত বা পায়ের স্নায়ুর একটি গ্রুপকে প্রভাবিত করে। লক্ষণগুলির মধ্যে আক্রান্ত স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি কম অনুভব করা, দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে পা, নিতম্ব বা উরুর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা, দুর্বলতা এবং পেশীর ভারসাম্যতা হ্রাস করে। এছাড়াও বুকে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।

ঝুঁকির কারণ : অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধুমপান, অতিরিক্ত ওজন, কিডনি ডিজিজ ইত্যাদি।

প্রতিরোধে করণীয়
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হল : জীবনধারা পরিবর্তন করা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা। কেননা, রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখতে পারলে স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করতে হবে। এছাড়াও

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ধুমপান ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধুমপান ছেড়ে দিলে অনেকাংশেই এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

চিকিৎসা
এই রোগে রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী। সে ক্ষেত্রে এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা প্রটোকল প্রয়োগ করতে হয়। এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিনস চিকিৎসকের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।

লেখক : বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্বে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ

সহযোগী অধ্যাপক, আইআইএইচএস ও কনসালটেন্ট, ডিপিআরসি।

সর্বশেষ সংবাদ

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শেরে বাংলা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ