পিত্তথলিতে পাথর রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয় যে, পিত্তথলিতে পাথর জমেছে। নারী-পুরুষ উভয়ই পিত্তথলি বা গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় ভোগেন। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। তা জেনে রাখা জরুরি। যেহেতু পেটে ব্যথা হয় নানা কারণেই। তবে তার আগে জানা দরকার কী কারণে গল ব্লাডারে পাথর জমে এবং কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি এড়াবেন?
১। অনেক বেশি সময় ধরে খালি পেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২। ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির উপর চাপ পড়ে। তার জেরেও অনেক সময়ে গল ব্লাডারে পাথর জমে।
৩। চল্লিশের পর এই রোগের আশঙ্কা বেশি। তাই বয় চল্লিশের আগে থেকেই পানি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
৪। ডায়াবিটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে। কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি।
৫। বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হউন। পারিবারিকভাবেও এ রোগ একজনের থেকে আর একজনের শরীরে যায়।
গল ব্লাডারে পাথর বুঝবেন যেভাবে?
১। পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মশলাদার খাবার খেলে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও।
২। মাঝেমাঝে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথা।
৩। গল ব্লাডারে পাথর জমার মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়। এ রকম হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
৪। প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হওয়া যায়। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব হলে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫। গল ব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।