মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ওপর তাদেরই (রোহিঙ্গা) সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘যেকোনো মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে খুন, অপহরণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে সংঘটিত কিছু কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ার যুক্তিসংগত ভিত্তি রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট যোগসূত্র বিদ্যমান।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে ফরটিফাই রাইটস। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মতো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি, বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাভিন মুরশিদসহ অনেকে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১৬ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।