যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় জেট বিধ্বস্ত হলে ছয় আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট মেডেভাক বিমানটি স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়লে সেখানে গাড়িতে থাকা একজন নিহত হন। এসময় আহত হন আরও ১৯ জন। ফিলাডেলফিয়ার মেয়র শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের।
এই বিষয়ে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম সকালে বলেন, ‘উড়োজাহাজে থাকা ছয়জনই মেক্সিকোর নাগরিক। ফিলাডেলফিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মেক্সিকোর ৬ নাগরিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। কনস্যুলার কর্তৃপক্ষ স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি যাতে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকেন। তাদের স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা।’
এর আগে, ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার প্রায় ১৫০ মাইল উত্তর-পূর্বে আরেকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে কর্তৃপক্ষ বুধবারের মারাত্মক সংঘর্ষের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ঘটনায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি আঞ্চলিক জেট, যাতে ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন এবং ইউএস আর্মির একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যাতে তিনজন সেনা ছিলেন মাঝ আকাশে সংঘর্ষে জড়ায়। পোটোম্যাক নদীর ওপর এই দুটি আকাশ যান সংঘর্ষে জড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনায় আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটি ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্ব বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে এবং মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যাচ্ছিল। বিমানে ছিলেন এক শিশু রোগী ও তার মা, যারা চিকিৎসা শেষে মেক্সিকোতে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। এমনটি জানিয়েছেন জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মুখপাত্র শাই গোল্ড। ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শ্রাইনার্স চিলড্রেনস হাসপাতালে ওই শিশুটি চিকিৎসা নেয়, শহরের কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য জানান।
বিমানে আরও ছিলেন চারজন ক্রু সদস্য – এক পাইলট, কো-পাইলট, একজন প্যারামেডিক এবং একজন চিকিৎসক। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানটি স্প্রিংফিল্ড বিমানবন্দরে জ্বালানি নিতে থামার পর চূড়ান্ত গন্তব্য মেক্সিকোর টিজুয়ানার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। গোল্ড সিএনএনকে জানান।
এদিকে, শনিবার তদন্তকারীরা বিমানটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তারা বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। এমনটি জানিয়েছেন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) চেয়ার জেনিফার হোমেন্ডি।