রেলের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বুধবার মধ্যরাত পৌনে তিনটায় এই তথ্য নিশ্চিত বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, রাত থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আমার রেলওয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রেলওয়ে উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী কাল অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে তাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবী মেনে না নিলে আমরা পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে সাইদুর রহমান আরও বলেন, উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আজকের (বুধবার) মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এমন আশ্বাসে আমরা আমাদের কর্মবিরতি বুধবার রাত ২টা ৪৭ মিনিটে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
এদিকে রাত ২টা ৫৬ মিনিটে রেলওয়ে মহাপরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রেলওয়ে উপদেষ্টা স্যারের বাসায় আমার উভয় পক্ষ বসে বৈঠক করেছি। উপদেষ্টা স্যারের আশ্বাসে আন্দোলনকারী অর্থাৎ রানিং স্টাফ নেতারা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এবং বৈঠক শেষে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেন। ফলে বুধবার মধ্যরাত থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল থেকে পুরোদমে ট্রেন চলবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের বিশেষ করে দুটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। মাইলেজ এবং সেই হিসেবে মাইলেসের আর্থিক হিসেব অনুয়ায়ী পেনশনের সঙ্গে সেই টাকার হার যোগ হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ট্রেন চালানোর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের (রানিং স্টাফ) ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এই তথ্য জানান তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে লিখেন, রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার। শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আমরা রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমস্যা সমাধান করতে রেল উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি।
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে আন্দোলনরত রেলের রানিং স্টাফ নেতাদের সঙ্গে আজ মধ্য রাতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার ৪ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিএনপির নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।