দক্ষিণ আমেরিকান দেশ পেরুর পার্লামেন্টে নারী কর্মীদের শালীন পোশাকে অফিস করার নির্দেশনা ছিল আগে থেকেই। এবার প্রথমবারের মতো অফিসে মিনিস্কার্ট, জিন্স, শর্টস ও স্নিকার্স ব্যান করলো পেরুর আইনসভা কংগ্রেস।
নির্দেশ অমান্য করলে জারি করা হয়েছে শাস্তির বিধানও। কর্মঘণ্টায় নারী কর্মচারীদের পোশাক নিয়ে কংগ্রেসের এমন নির্দেশনায় তোলপাড় চলছে পুরো দেশজুড়ে।
তবে সাড়ে ৩ হাজার নারী কর্মচারীর জন্য নতুন ড্রেস কোড দেয়া হলেও তা কার্যকরী নয় কংগ্রেসের ১৩০ নারী এমপির ওপর। তবে এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন কংগ্রেসের অন্য নারী সদস্যরা।
এ নিয়ে রয়েছে বেশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও। আইনসভার সদস্য সুসেল পারিদেস বলেন, কংগ্রেস কি ধর্মীয় কোন জায়গা? আমি আসলেই জানি না। মিনিস্কার্ট পড়লে তো কাউকে অসম্মান করা হয়না। এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে কংগ্রেস কেন নারীদের পোশাক নিয়ে এত মাতামাতি করছে বুঝতে পারছি না।
নারীদের পোশাক সম্পর্কিত কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পেরুর নারীরা। একজন বলেন,
কংগ্রেসের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে নারীদের পোশাক নিয়ে এমন নির্দেশনা পুরুষতান্ত্রিক মন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।
অপর এক নারী কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিনিস্কার্ট ব্যান’র সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। আমাদের বুঝতে হবে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। অন্য যেকোন প্রতিষ্ঠানে নিজের ইচ্ছামতো পোশাক পড়া গেলেও পার্লামেন্টের পরিবেশ আলাদা। মিনিস্কার্ট খোলামেলা পোশাক। আর আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়।
প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মকালে নারীদের পোশাক সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা পোস্টার আকারে প্রদর্শিত করেছে মানবসম্পদ বিভাগ এবং কংগ্রেস প্রশাসন।