২০১৮ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকার গঠন করার পর আর্থিক সঙ্কট সমাধানে পাকিস্তানকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই ঋণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে বড় ছাড় দিয়েছে আমিরাত।
চলতি বছরের মার্চে আমিরাতের এই ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সউদী আরবের মতো আমিরাতও অর্থ ফেরত চাইবে বলে উদ্বেগে ছিল পাকিস্তান। তাদের ভয় ছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত যেকোনো সময় এই অর্থ সুদেআসলে ফেরত চাইতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির আমিরাত সফরে কিছুটা স্বস্তি এসেছে পাকিস্তানে।
আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে নিশ্চিত করা হয়েছে ২০০ কোটি ডলারের ওই ঋণ এখনও চলমান অবস্থায় থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা হতে পারে ক্ষমতাসীন পিটিআই সরকারের জন্য বড় এক স্বস্তি। এ জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তার অব্যাহত সমর্থন ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদ কুরেশি।
আমিরাতের এই ঋণ দিয়েছে আবুধাবি ফান্ড। ঋণ চলমান ঘোষণা দিয়ে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তানকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমিরাত। এমন সিদ্ধান্তে বন্ধুত্বপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন কুরেশি। এর ফলে পাকিস্তান ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে যে বিরোধ আছে তা এখন শিথিল হয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে।
সম্প্রতি সউদী আরব সফরে যেতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাতে ফোন করেছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান। তার আমন্ত্রণে শিগগিরই ইমরান খান সউদী আরব সফরে যাবেন বলে আশা করা হয়। এ অবস্থায় ঋণের ওপর কঠোরতা শিথিল করলেও আমিরাতে পাকিস্তানি শ্রমিকদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। গত বছরের নভেম্বর থেকে পাকিস্তানি শ্রমিকদের ওয়ার্কভিসা বন্ধ করেছে আমিরাত। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।