আজ শুক্রবার ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দিতে তার এ সফর। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের নয়াদিল্লি থেকে তার ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। এরপর বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন কেরি। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিশ্রতির অংশ হিসেবে জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনই তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে, যা থেকে চার বছর আগে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তার পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন নিজের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে, যিনি ছিলেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায়।
গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাইডেন ঘোষণা দেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে ‘লিডারস সামিট’ আয়োজন করবেন তিনি। এর পর মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শুরু হবে দুদিনের এ শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনটি সাধারণ মানুষের দেখার জন্য সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও থাকবে। এ সম্মেলনের পাশাপাশি নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ২৬তম সম্মেলন বা ‘কপ২৬’ নিয়ে আলোচনার জন্য সফর শুরু করেছেন বাইডেনের দূত কেরি। ইতোমধ্যে আবুধাবি ও নয়াদিল্লি গেছেন তিনি। শেষ গন্তব্য ঢাকা সফর শেষে দেশের পথ ধরবেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাইডেনের আহ্বানে যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন হচ্ছে, তখন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে কেরির সফর ও সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।