নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এ দিকে নিজেদের ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারত। তবু আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে টাইগারদের নিচেই অবস্থান করছে ভারত। অন্য দিকে সিরিজ হেরেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইংল্যান্ড।
রবিবার (২৮ মার্চ) শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পর ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বর স্থান অনড় রয়েছে বাংলাদেশের। সিরিজ জিতেও আগে একটি পয়েন্ট জরিমানা হওয়ার কারণে সাত নম্বরে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সমান ৪০ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটের ভিত্তিতে শীর্ষস্থান নিজেদের কাছেই রেখেছে ইংলিশরা।
সুপার লিগে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯ ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। যেখানে তারা জিতেছে ৪টি, হেরেছে ৫টি। চার জয়ে তাদের নামের পাশে রয়েছে ৪০ পয়েন্ট। অন্য দিকে ছয় ম্যাচ খেলে ৪টি জেতা অস্ট্রেলিয়ারও রয়েছে ৪০ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রানরেটের হিসেবে ইংল্যান্ডের চেয়ে একটু পিছিয়ে রয়েছে অসিরা।
বাংলাদেশ দল খেলেছে ৬টি ম্যাচ। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে পেয়েছে ৩০ পয়েন্ট। আবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়ে প্রতিপক্ষকে দিয়েও এসেছে ৩০ পয়েন্ট। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট বাংলাদেশের। কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশই।
অন্য দিকে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ছয় ম্যাচ খেলে ৩টি জিতেছে ভারতও। কিন্তু তাদের পয়েন্ট ২৯। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে একটি পয়েন্ট। তাই ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে ভারত। অবশ্য নেট রানরেটেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়েই রয়েছে তারা।
পয়েন্ট টেবিলের সবচেয়ে নিচে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারা তিন ম্যাচ খেলেও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। উল্টো দুই ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে পেয়েছে মাইনাস দুই পয়েন্ট। তাদের পয়েন্টও এখন তাই মাইনাস দুই। একটি করে জয় রয়েছে জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের।
আরও পড়ুন : ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না খেলায় সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ওঠেনি নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাম।
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পর সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকা
১/ ইংল্যান্ড – ৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট (+০.৪৬৮)
২/ অস্ট্রেলিয়া – ৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট (+০.৩৪৭)
৩/ নিউজিল্যান্ড – ৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট (+২.৩৫২)
৪/ আফগানিস্তান – ৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট (+০.৫২৭)
৫/ বাংলাদেশ – ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট (-০.১২৮)
৬/ ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট (-০.৮৭৬)
৭/ ভারত – ৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট (-০.২৫২)
৮/ পাকিস্তান – ৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট (+০.৭৪১)
৯/ জিম্বাবুয়ে – ৩ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট (-০.৭৪১)
১০/ আয়ারল্যান্ড – ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট (-১.০৭৬)
১১/ শ্রীলঙ্কা – ৩ ম্যাচে -২ পয়েন্ট (-০.২২১)