সৎকর্মশীল ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন। এ ছাড়া মানুষের বিভিন্ন গুণাবলি, চারিত্রিক সৌন্দর্য ও মানবিক আচরণকর্ম রয়েছে, বান্দাদের মধ্যে তিনি সেসব গুণাবলি দেখতে ভালোবাসেন।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন–
১. তাওবা (অনুতপ্ত হৃদয় ক্ষমা ভিক্ষা) ‘আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন, যারা তাঁর দিকেই (অনুতাপ ভরা হৃদয়ে) প্রতিনিয়ত ফিরে আসে। (সূরা আল বাকারাহ্, ২২২)
২. তাহারাত (পাক ও পবিত্র থাকা) ‘আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন, যাঁরা নিজেদের পাক-পবিত্র রাখে। (সূরা আল বাকারাহ্, ২২২)
৩. তাকওয়া (পরহেজ্গার যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করে চলে) ‘আল্লাহ তাঁদেরই ভালোবাসেন, যাঁরা ইনসাফ-পসন্দ ও সংযমশীল। (সূরা আত্ তাওবা ৯৪)
৪. ইহসান (আল্লাহকে স্মরণ করে মানুষ বা জীবজগতের প্রতি দয়া ও করুণা) ‘আল্লাহ তাঁদেরই ভালোবাসেন, যারা ভালো কাজে নিয়ত থাকে। (সূরা আল ইমরান, ১৩৪)
৫. তাওয়াক্কুল (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতা) ‘আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন, যারা তাঁর ওপর আস্থা রাখে ও নির্ভর করে। (সূরা আল ইমরান, ১৫৯)
৬. (ক) আদ্ল (ন্যায়বিচার) ‘আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন, যারা সর্বদা ন্যায়বিচার করে।’ (সূরা মায়েদা, ৪২)
(খ) আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন, যারা সুবিচারকারী। (সূরা হুজুরাত,৯)
৭. সবর (ধৈর্য্য) ‘আল্লাহ তাঁদেরই ভালোবাসেন, যারা দৃঢ়চিত্ত এবং ধৈর্য্যশীল (আস্-সাবিরিন)। (সূরা আল ইমরান ৩১৪৬)
‘আল্লাহরই উপর আমরা তাওয়াক্কুল করি। হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের কওমের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।’ (সূরা আল আরাফ ৭: ৮৯)