দুর্নীতি মামলায় পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দীন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে গত ১১ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেন ঢাকার একটি বিচারিক আদালত। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন সেলিনা এবং ওয়াফা।
এ জামিনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার আদালতে দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
এর আগে, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তারও আগে ১০ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর তারা নিম্ন আদালতে যান। কিন্তু আদালত ছুটি থাকায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে তারিখ পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এদিকে, ১০ ডিসেম্বর কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রতীয়মান হয়নি মর্মে প্রতিবেদন দেয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞাকেও তলব করেন আদালত।
গত বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা এবং মেয়ে ওয়াফাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আছেন পাপুল।