অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি পর্যালোচনার জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি উপদেষ্টা প্যানেল বসছে।
মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন’র (সেইজ) নির্বাহী সম্পাদক জোয়াকিম হোমব্যাচ।
এই বিশেষজ্ঞ জানান, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে, আমরা অস্থায়ীভাবে এই ভ্যাকসিনের বিষয়ে নীতিমালা ঠিক করতে ৮ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ গবেষণায় গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাজ্যে এই ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পায়।
ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েকধাপে নেওয়া ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিনটির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।
বাংলাদেশ সরকারও সারাদেশে টিকাদানের জন্য এই ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত করেছে। উপমহাদেশে এই ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম থেকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির ৫০ লাখ ডোজ এসে পৌঁছেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।