মার্কিন আগ্রাসন ও নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার পদক্ষেপ হিসেবে নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে চীন। অন্যায়ভাবে চাঁপিয়ে দেওয়া বিদেশি আইনের খড়গ থেকে নিজেদের কোম্পানিকে সুরক্ষা দিতে আইন প্রণয়ন করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটি।
সপ্তাহের শেষ দিনে যে পরিবর্তনের ঘোষণা এসেছে, তাতে এমন বিধিনিষেধের আওতায় পড়া কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দিতে পারবে চীনা আদালত।খবর বিবিসির।
চীনা কোম্পানিগুলোকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার নিশানা বানিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, এসব কোম্পানি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য হুমকি।
কালোতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর যন্ত্রাংশ সরবরাহ কারীদের সাজা দিতে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। শনিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদেশের অযোক্তিক ও অন্যায় হস্তক্ষেপমূলক আইনের জবাব দিতে এই নতুন আইন।
সম্প্রতি ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত চীনের তিনটি বৃহৎ টেলিকম ফার্ম। চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে অভিযোগ তুলে গত নভেম্বরে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে চীন মোবাইল, চীন টেলিকম এবং চীন উইনিকম হংকং নামের তিনটি কোম্পনির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
বিবিসি জানায়, সোমবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ফলে সোমবার থেকে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তিন কোম্পানির শেয়ার তালিকাচ্যুত হয়ে যাবে। এছাড়া, ট্রাম্প গত মাসে ৮টি চাইনিজ এ্যাপ নিষিদ্ধ করেন। যেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম আলিপে এবং উইচ্যাট পে রয়েছে।