spot_img

রাজশাহীর বাঘায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা

অবশ্যই পরুন

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় জহুরুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে উপজেলার তেঁথুলিয়া শিকদারপাড়া এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। যুবক নিখোঁজের ব্যাপারে আগের রাতে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল তার পরিবার।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। জহুরুলের তিন বছর বয়সী একটা মেয়ে আছে। জহুরুল বাঘার পানিকামড়া এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকানে চাকরি করতেন। এই দোকানে তিনি ফোন বিক্রি করতেন। এছাড়া এই দোকান থেকে বিভিন্ন এলাকার মোবাইলের দোকানে তিনি ফোন দিয়ে আসতেন এবং রাতে টাকা আদায় করতেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন তেঁথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামের একটি নির্জন স্থানে রাস্তার পাশে জহুরুলের মোটরসাইকেলটি রাখা দেখতে পান। মোটরসাইকেলের ওপর মোবাইলের একটি কার্টুন ছিল। তবে ভেতরে কোন মোবাইল সেট ছিল না। আর পাশেই পড়ে ছিল একটি হাসুয়া। এর কিছুটা দূরে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। লাশটি দেখার পর স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

ওসি জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর এক ব্যক্তির সঙ্গে জহুরুল দোকান থেকে বের হন। বিকাল থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তাই পরিবারের লোকজন বিষয়টি থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ একটি জিডি করে তার সন্ধান পেতে কাজ শুরু করে। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে তার লাশ পাওয়া গেল।

পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি অন্য কোন স্থানে জহুরুলকে হত্যা করে তেঁথুলিয়া এলাকায় লাশ ফেলে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ