বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এর আগে কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে মামলার ৩৩ নম্বর সাক্ষী উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসানকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা শুরু করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে থেকে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৩ জন ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া সাক্ষীদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় এবং ৩০ জন ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষীদের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষক, শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তাকর্মীও আছেন।
এদিকে আবরারের রক্তমাখা জামাকাপড়, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, ফরেনসিক প্রতিবেদন, ১৬৪ ও ১৬১ ধারায় দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সিক্রেট মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপথন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, আসামিদের কল রেকর্ড ও মশারি টানানোর রড-স্টাম্প আলমত হিসেবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।