অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার করোন ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এবার ভারতের নিজস্ব টিকা Covaxin-কে জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করল সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)-র একটি কমিটি। এবার সেই সুপারিশ যাবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া-তে। তারাই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, আইসিএমআর ও পুণে ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। এটি অনুমোদন পেয়ে গেলে করোনা মোকাবিলায় ভারতের হাতে এসে যাবে মোট ২টি ভ্যাকসিন। জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক। সেই সময় কেন্দ্রের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ওই টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য দিতে বলে ভারত বায়োটেককে। বর্তমানে ওই ভ্য়াকসিনটির তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলছে।
ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন এর প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য দেওয়া হয়নি। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। পাশাপাশি এক কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এদিকে, শনিবার ভারতের প্রতি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। অক্সফোর্ড-অ্য়াস্ট্রাজেনকা ভ্যাকসিন ভারতে ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার পর যে কোনও দিনই তা দেওয়া শুরু হতে পারে। কিন্তু কাদের এই ভ্যাকসিন আগে দেওয়া হবে?
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন শনিবার দিল্লির গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে যান করোনা টিকার ড্রাই রান দেখতে। সেখানেই তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশে ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে করোনা ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে। তার পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আগামী জুলাই পর্যন্ত আরও ২৭ কোটি মানুষকে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার পদ্ধতি ঠিক হচ্ছে।