রাজধানীর বাড্ডায় প্রাইমারি স্কুল গেটে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পলাতক আসামি মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন। একইসঙ্গে পলাতক আসামি মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এ বিষয়ে ৩ জানুয়ারি তামিল প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে দুই জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এদের মধ্যে মহিন উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই তুবাকে ভর্তির খোঁজখবর নিতেই বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫শ’ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।