spot_img

বিজিএমইএ নির্বাচন: সদস্যদের স্বার্থ সমন্নুত রাখতে চায় ‘ফোরাম’

অবশ্যই পরুন

কয়েক মাস ধরেই নেতৃত্বশূন্য পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গেলো ৫ আগস্টের পর দায়িত্বে আর ফেরেননি সংগঠনের সাবেক সভাপতি এস এম মান্নান কচি।

সংগঠনটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়লে পরে প্রশাসক নিয়োগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে ঘোষণা করা হয়েছে বিজিএমইএ নির্বাচনের দিনক্ষণ।

এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছে দুইটি প্যানেল। একটি ফোরাম; অন্যটি সম্মিলিত পরিষদ। ভোট ঘিরে এখন চাঙ্গা বিজিএমইএ। ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। বাদ দেয়া হয়েছে ভুয়া ভোটার। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতেও আছে পদক্ষেপ। প্রার্থীরা বলছেন, চাপহীন পরিবেশে নির্বাচনের মাধ্যমেই আসবে যোগ্য নেতৃত্ব।

ফোরাম প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৩৫ প্রার্থী। দেয়া হচ্ছে, বিজিএমইএ’র হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাসহ পোশাক খাতের উজ্জল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

যমুনা গ্রুপের পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য আমি সকল গণমাধ্যম ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো। বাংলাদেশে পোশাক শিল্প খাতের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আমি সকল মালিককে একই ছাদে নিয়ে কাজ করতে চাই। বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি; নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারের সাথে কার্যকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

সবার জন্য বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠা ও উদ্যোক্তাদের স্বার্থ সমুন্নত রাখাই হবে প্রধান কাজ। ভোটারদের এমন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ফোরাম প্রার্থীরা। বলছেন, আগামীতে রাজনীতিকরণ হবে না বিজিএমইএ-তে।

পরিচালক প্রার্থী শাহ রাঈদ চৌধুরী বলেছেন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে বিজিএমইএ-তে। আমরা যদি সুযোগ পাই, বিজিএমইএতে যে পরিবর্তন দরকার সেটা ফোরাম করতে পারবে বলে আশা রাখি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সুরাহা, অর্থায়ন জটিলতা দূরকরা, পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং বিশ্ববাজারে দেশীয় পণ্যের সম্ভাবনা তৈরি করাই হবে মূল কাজ।

পরিচালক প্রার্থী মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, এবারের ভোট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ হবে। আমাদের ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সক্ষম হবেন।

আরেক পরিচালক প্রার্থী মজুমদার আরিফুর রহমান বললেন, এসএমই এর জন্য আমরা আলাদা একটা বোর্ড গঠন করবো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে আমাদের বিজিএমইএ থেকে শক্তিশালী এবং বর্তমান সরকারও চাচ্ছে কীভাবে এসএমইকে ভালোভাবে প্রমোট করা যায়।

টেকশই পোশাক খাত তৈরি করতে ১৪ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফোরাম। ইউডিসহ অন্যান্য সার্ভিস চার্য ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমাতেও উদ্যোগ নেবে এই প্যানেল।

ফোরাম এর প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, একেবারে নতুন যারা, ভালো ব্যবসা করে কিন্তু বিজিএমইএর কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হতে চায় না, তাদেরকেও আমরা আশ্বস্ত করছি যে আপনারা যদি এই সংগঠনের সাথে জড়িত না হন, একদিন এই ব্যবসাটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা তো কাউকে না কাউকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা সবসময় জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করি। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং আমরা এটাকে একটা প্রকৃত বাণিজ্য সংগঠনে রূপান্তরিত করতে চাই।

নির্বাচনে ৩৫ পদে প্রার্থী দিয়েছে ফোরাম। এর মধ্যে ২৬ জন ঢাকায়, বাকি ৯ জন চট্টগ্রামে। আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিসিবির নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিসি : ক্রীড়া উপদেষ্টা

দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশন ফুটবল ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রায়ই আইসিসি ও ফিফার জুজুর ভয় দেখান। ফারুক আহমেদ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ