spot_img

সোশ্যাল মিডিয়া ও একাকিত্ব: জীবনে প্রভাব ফেলছে

অবশ্যই পরুন

প্রায় সময় প্রশ্ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে। অনেকের মতে এটা আমাদের সবার থেকে আলাদা করে দেয়। তবে কি সত্যি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে একাকিত্ব বেড়ে যায়? এ বিষয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। মনোবিদ ও গবেষক ও’ডে এবং ঝাং দুইটি গবেষণা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ধরণই একাকিত্ব ও মানসিক চাপ বাড়ানোর মূল কারণ হতে পারে।

সাইকোলজি টুডের প্রতিবেদন উঠে এসেছে, ও’ডে তার গবেষণায় বিগত সময়ে করা হইয়েছে এমন ৫২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা গেছে, যারা সামাজিকভাবে উদ্বিগ্ন বা একাকী অনুভব করেন, তারা বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটান। তবে বেশিরভাগ সময় তারা সক্রিয় না থেকে স্ক্রল করেন, অন্যদের সঙ্গে তুলনা করেন। এসব অভ্যাস একাকিত্ব ও মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়।

অন্যদিকে ঝাং-এর গবেষণায় বিগত সময়ে করা ৮২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে ৪৮,০০০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন। এতে দেখা গেছে, বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে একাকিত্বও বাড়তে পারে।

আপনি কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, সক্রিয়ভাবে ব্যবহার না করে যদি শুধু স্ক্রল করেন বা পোস্ট না করেন, তবে একাকিত্ব বাড়তে পারে। কারণ অন্যদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে নিজের জীবনের সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা বেড়ে যায়।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, সংস্কৃতির ওপরেও এর প্রভাব পড়ে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার মতো ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমাজে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে একাকিত্ব বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে জাপান বা ভারতের মতো সমাজে, যেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক মজবুত, সেসব জায়গায় এ সমস্যা তুলনামূলক কম।

সক্রিয়ভাবে ব্যবহার না করে যদি শুধু স্ক্রল করেন বা পোস্ট না করেন, তবে একাকিত্ব বাড়তে পারে। কারণ অন্যদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে নিজের জীবনের সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

একাকিত্ব কাটাবেন যেভাবে: বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু উপায় দিয়েছেন যা আপনার একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করবে। এগুলো হলো:

  • সক্রিয় থাকা: স্ক্রল না করে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পোস্টে কমেন্ট করুন বা বার্তা পাঠান।
  • তুলনা এড়ান: অন্যদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবন তুলনা করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া আসল জীবন নয়, এটি শুধুমাত্র হাইলাইট।
  • সীমা নির্ধারণ: কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন, তার একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন।
  • বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্ক: একাকিত্ব দূর করতে সরাসরি মানুষের সঙ্গে দেখা করুন।

গবেষকদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে ছোট কিছু পরিবর্তন এনে আপনি মানসিক চাপ ও একাকিত্ব কমিয়ে সামাজিক সংযোগ বাড়াতে পারেন।তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি এটা আমাদের জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সর্বশেষ সংবাদ

ইউরোপের দিন শেষ: মেদভেদেভ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনে কথোপকথন নিয়ে ইউরোপ ঈর্ষান্বিত ও রাগান্বিত বলে মন্তব্য...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ