ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গাজা থেকে কোনো রকেট হামলা হলে হামাস নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন। রোববার ইসরাইলি রেশাত বেত রেডিওর সাথে এক সাক্ষাতকারে এই হুমকি দেন তিনি।
তিনি বলেন, দক্ষিণ ইসরাইলে যদি একটিও রকেট নিক্ষেপ করা হয়, তবে হামাস নেতাদের হত্যার মাধ্যমে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে।
কাটজ বলেন, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনের সাথে শুক্রবার যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কাটজ বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিখোঁজ সৈন্যদের ফেরত দেয়ার শর্তেই ইসরাইল গাজা পুনর্নিমার্ণের অনুমতি দেবে।
অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল আদেশ দেয় ইসরাইলি এক আদালত। এই আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডেমোট চার হাজার তিন শ’ ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ’ ৪৮ গাজাবাসী।
গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক