spot_img

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত: গভীর উদ্বেগে জাতিসংঘ

অবশ্যই পরুন

ইসরায়েল অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেমে গত তিন দিন ধরে চলা সংঘাতময় পরিস্থিতির জেরে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল এই তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কলভিল বলেন, ‘পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তাতে জাতিসংঘ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

‘গত তিনদিনের সংঘাতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। জাতিসংঘ মনে করে, এবার উভয় পক্ষেরই শান্ত হওয়া প্রয়োজন।’

‘পাশাপাশি, জাতিসংঘ এ ও বিশ্বাস করে, যারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চায়, তাদের ওপর বল প্রয়োগ উচিত নয়।’

রোববার (৯ মে) পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন, আহত হয়েছেন সাতশ’রও বেশি মানুষ।

গত বেশকিছুদিন ধরেই গাজা এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা দমন করতে তৎপর হয় ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ওই দিনের সংঘাতে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ।

এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।

কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমল না দেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। ইসরায়েলের সেনবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সন্ধ্যা থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত অন্তত ১৩০ টি রকেট ছুঁড়েছে হামাস।

হামাস রকেট হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে গাজার বেশ কয়েকটি ভবন।

তবে এই সংঘাতের দুই বিবদমান পক্ষ — ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস ও ইসরায়েল সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

হামাসের শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র ইসমাইল হানিয়ে মঙ্গলবার এক টিভি ভাষনে বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। যদি ইসরায়েল তার হামলা অব্যাহত রাখে, তার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি যেমন আমাদের আছে, তেমনি ইসলায়েল যদি শান্তি চায়, সেক্ষেত্রেও প্রস্তুত আমরা।’

একই দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ইসরায়েলে হামলার জন্য এই জঙ্গিদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে।’

সূত্র: এএফপি

সর্বশেষ সংবাদ

গুঞ্জন উড়িয়ে ম্যানসিটিতে আরও ২ বছর থাকছেন পেপ গার্দিওলা

গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে পারেন কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কষ্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ