সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে বিশাল প্রাচীর বা দেয়াল নির্মাণের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন, তা বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিরক্ষা অধিদফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য ট্রাম্প সামরিক তহবিল থেকে অর্থ নেয়ায় এ নির্মাণ প্রকল্পটিকে বাতিল করা হয়েছে। ট্রাম্পের এ সীমান্ত দেয়ালের বিভিন্ন অংশ নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ এখনো ব্যবহৃত হয়নি তা আবারো সামরিক বাহিনীর কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২০১৯ সালে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন যাতে করে পরোক্ষভাবে তিনি এ দেশটির (মেক্সিকো সীমান্তে) দক্ষিণ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করতে অর্থ সরবরাহ করতে পারেন।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তার প্রথম ( ২০ জানুয়ারি) কর্ম দিবসেই এ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের প্রকল্প স্থগিত রাখেন। তিনি এ দেয়াল নির্মাণের অর্থ সরবরাহ প্রক্রিয়ার বৈধতা পর্যালোচনার জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া এ দেয়াল নির্মাণের ঠিকাদারি পদ্ধতি নিয়েও তদন্তের আদেশ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিরক্ষা অধিদফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জামাল ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সকল সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। এ দেয়াল নির্মাণের জন্য যে অর্থ দেয়া হয়েছিল তা মূলত অন্য সামরিক মিশন ও কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ ছিল। এ সকল বিষয়ের মধ্যে ছিল সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুল তৈরি, দেশের বাইরে মিত্র দেশগুলোতে সামরিক প্রকল্প নির্মাণের কাজ আর ন্যাশনাল গার্ডের বরাদ্দ আর বাড়তি সামরিক সরঞ্জমাম কেনার অর্থ।
জামাল ব্রাউন আরো বলেন, যে পরিমাণ তহবিল ফেরত পাওয়া গেছে তা ওই সব স্থগিত সামরিক প্রকল্প নির্মাণে ব্যবহৃত হবে।
এ ব্যাপারটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি ঠিক কী পরিমাণে অর্থ ফেরত পাওয়া গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে অর্থের পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিরক্ষা অধিদফতর পেন্টাগনের যে তহবিল ছিল তা থেকে অর্থ নেয়ার সময় ট্রাম্প অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতা বা এমপির সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট