চীনের একটি আদালত দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশের সাবেক দুই উইঘুর সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন । বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির জানায়, মঙ্গলবার( ৬ এপ্রিল) জিনজিয়াংয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একজন শিরজাত বাউদুন জিনজিয়াং বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জিনজিয়াংয়ের হায়ার পিপলস কোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং লাংটাও বলেন, শিরজাত বাউদুন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার দাবি, শিরজাত বাইদুনের সঙ্গে জিনজিয়াংয়ের ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) সংগঠনের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ ছিল। ২০০৩ সালে সংগঠনটিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে জাতিসংঘ।
আদালত এক বিবৃতিতে আরও জানান, বাউদুনের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে জিনজিয়াংয়ের শিক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক সাতার সাউতকে। বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
উইঘুর সম্প্রদায় মূলত তুর্কি বংশোদ্ভুত একটি জাতিগোষ্ঠী। চীনের বৃহত্তম প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তারিম উপত্যকা এলাকার বাসিন্দা উইঘুররা দেশটির সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬ টি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অন্যতম।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির জানায়, উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীন সরকারের গণহত্যার অপরাধ সংঘটনের খুবই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে তারা। উইঘুরদের কাজ করতে বাধ্য করা ছাড়াও বন্দিশিবিরে উইঘুর নারীদের পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি। এদিকে বিবিসিতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।