শুরুটা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বলেছিলেন, শান্তির জন্য এগিয়ে আসতে হবে ভারতকেই। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিলেন।
উরিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক, পুলওয়ামায় বিস্ফোরণ, বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক ইত্যাদির পর ভারত-পাক সম্পর্ক এমনিতেই তলানিতে ঠেকেছিল। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও শৈত্য নেমে আসে। দীর্ঘ সেই শীতের পর মঙ্গলবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উষ্ণ বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ২২ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে ইমরানকে চিঠি পাঠিয়েছেন মোদী।
তাতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে সমস্ত নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে আগ্রহী ভারত। তবে সন্ত্রাস ও বৈরীতা কাটিয়ে এ জন্য পারস্পরিক বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।” কোভিডের মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রয়াসকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
আপাতত দর্শনে কেবল কয়েক লাইনের এই চিঠিকেই কূটনৈতিক ভাবে অতিশয় তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা অটুট রাখতে ভারত-পাক সুষ্ঠু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জরুরি বলেই তাদের মত। সেই লক্ষ্যে অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী এগোনোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই পথ ধরেই হাঁটতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিংহও। বাজপেয়ী যেমন লাহোরে বাসযাত্রার মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেয়েছিলেন। তেমন মনমোহন এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, সীমান্তকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হোক। ভারত ও পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মধ্যে বাণিজ্য চালু হোক। কারণ, আগামী দিনে দুই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনে অনুঘটকের ভূমিকা নেবে।
সূত্র : এনডিটিভি।