মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দায় যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা পরিষদ।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকে অভ্যন্তরীন বিষয় বলে দেশটিতে জাতিসঙ্ঘের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে।
মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টেন শারনের বুর্গনের বৈঠকে সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়া মিয়ানমারের সাধারণের মানুষের আশা ‘ক্ষীণ’ হয়ে আসছে।
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি মায়েদের, শিক্ষার্থীদের ও বয়স্কদের কাছ থেকে মরিয়া আহ্বান শুনেছি, প্রতিদিনই আমি দুই হাজারের মতো বার্তা পাই, যাতে করে মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছা ও গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি স্পষ্ট আঘাতের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ নেয়।’
১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় দেশটিতে ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অপরদিকে অভ্যুত্থানের পর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি