spot_img

জেরার মুখে নিজের অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো ডিজে নেহা

অবশ্যই পরুন

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যজট খুলতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বান্ধবী ফারজানা জামান ওরফে ডিজে নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে, তার অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মৃত ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষক্রিয়া ওই ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। রবিবার রিমান্ডের তৃতীয় দিনে নেহার ফোনবুকে পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ডজনখানেক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীর নম্বর পেয়েছে। যেগুলো সাংকেতিকভাবে সংরক্ষণ করা। এসব ধর্ণাঢ্যদের অনেকের কাছে মদ, তরুণী সরবরাহ করতেন তিনি। কখনো কখনো নেহা নিজেই তাদের সঙ্গ দিয়েছেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিজে নেহার পছন্দের মোবাইল ফোনে (আইফোন) টার্গেট করা ব্যবসায়ী ও ধনী যুবকদের নম্বর ‘ক্লায়েন্ট-১’, ‘ক্লায়েন্ট-২’, ‘ক্লায়েন্ট-৩’ এমন ধারাবাহিকভাবেই সংরক্ষণ করা আছে।

জিজ্ঞাসাবাদে নেহা জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চে চট্টগ্রামের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে একটি পার্টিতে তার পরিচয় হয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে কৌশলে ৬ মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নেহা। নেহার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন তারই চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল বিশাল। বিশাল সার্বক্ষণিক নেহার সঙ্গেই থাকতেন।

২৮ জানুয়ারি উত্তরার ব্যাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মদপান করাতে নেহা ও তার খুব কাছের বন্ধু আরাফাত পার্টির আয়োজন করেন। মদপানের পর অসুস্থ হয়ে আরাফাতও মারা গেছেন। সেদিন নেহার ফোনেই তার চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল ওরফে বিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মদ কিনে নিয়ে যায় ওই রেস্টুরেন্টে।

নেহা পুলিশকে জানিয়েছেন, খদ্দেরদের তালিকা সংরক্ষণ করতেন বিশাল। এছাড়াও অবৈধ দরদামে সে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাধুরীর মৃত্যুর পর তার বাবার মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে নিজেই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিশাল।

পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলে বন্ধু আরিফ এবং তাদের বাসায় আশ্রয়দাতা তাফসিরও কারাগারে আটক রয়েছেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেছেন, নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। এসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। যদি মামলার তদন্তের স্বার্থে লাশ তোলা প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে তোলা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

গুঞ্জন উড়িয়ে ম্যানসিটিতে আরও ২ বছর থাকছেন পেপ গার্দিওলা

গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে পারেন কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কষ্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ