যুক্তরাজ্যে সন্ধান পাওয়া করোনাভাইরাসের অভিযোজিত নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে ভারতের তৈরি কোভ্যাক্সিন। দেশটির সরকারি সহায়তায় টিকাটি আবিষ্কার করেছে ভারত বায়োটেক। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সংস্থাটির প্রকাশিত এক গবেষণায় এ দাবি করা হয়। প্রাথমিক ধাপের এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২৬ জন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন পায় কোভ্যাক্সিন। আর বুধবার এর নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সফলতা দাবি করা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশের ওয়েবসাইট বায়োরেক্সিভ- এ। তবে ওয়েবসাইটটি সহ-গবেষকদের মূল্যায়নের আগেই এধরনের নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকে।
ভারত বায়োটেক এবং তাদের সহযোগী সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানীরা নিবন্ধে লিখেছেন, “ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের রক্তরসে পাওয়া অ্যান্টিবডি যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ধরনটিকে প্রতিরোধ করতেও পারে। এরফলে করোনা জীবাণুর অভিযোজনের ফলে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তার অবসান হবে।”
“আমাদের তৈরি টিকার সম্ভাব্য সুফলকে 501Y অভিযোজিত জীবাণু এড়াতে পারবে না,” গবেষকরা জানান।
এরআগে, গত সপ্তাহে বায়োরেক্সিভ- এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ফাইজার/ বায়েএনটেকের তৈরি টিকাও অতি-সংক্রামক নতুন ধরনটি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে। ইতোমধ্যেই, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে জীবাণুর নতুনতর এই বংশজ। ভারতে এতে আক্রান্ত ১৫০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে সবশেষ পর্যায়ের বা বড় আকারের ট্রায়ালের তথ্য হাতে আসার আগেই কোভ্যাক্সিনকে জরুরি অনুমোদন দেয় ভারতের ওষুধ প্রশাসন। সে সময় নিয়ামক সংস্থাটি দাবি করে, প্রতিষেধকটি শুধু জীবাণুর বহিরাবরনের স্পাইক প্রোটিন নয় বরং এর সমস্ত কাঠামোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। তাই অভিযোজিত নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধেও এটি সুরক্ষা দেবে।
সূত্র: রয়টার্স