পারিবারিক বন্ধন আমাদের গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পারিবারিক শিক্ষার শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ছিল আমাদের এই সমাজ। পরিবারের মঙ্গলের জন্য জীবনের সবটা সময় নিবেদিত করেছিলেন আমাদের মা-বাবা, তাঁদের মা-বাবা; তাঁদেরও। কালের পরিক্রমায় এই বন্ধন আজ হুমকির সম্মুখীন। ভেঙ্গে যাচ্ছে পরিবারের আদর্শ, মূল্যবোধ; ধুঁকছে সমাজ।
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসুক পুরনো সেই পারিবারিক বন্ধন। আসুন জেনে নি এ জন্য কী করতে হবে-
– প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই বলুন, প্রভু তোমাকে ধন্যবাদ একটি সুন্দর দিনের জন্য।
– পরিবারে ছোট-বড় সবার সাথে সালাম বিনিময়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
– বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সম্ভব হলে মা-বাবা, স্বামী/ স্ত্রী এবং অন্য সদস্যদের বলে বের হোন।
– বাসায় ফিরে আগে সবার খোঁজখবর নিন।
– ঘরে ঢুকেই বা কেউ ঘরে ফেরার সাথে সাথেই কোনো অভিমান-অভিযোগ প্রকাশ করবেন না।
– যত ব্যস্ততাই থাকুক, দিনে অন্তত একবার পরিবারের সঙ্গে খাবার খান।
– পারিবারিক অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করুন।
– প্রত্যেকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে শ্রদ্ধা করুন। অনুমতি ছাড়া কারো মোবাইল ফোন, ডায়েরি, চিঠি খুলে দেখবেন না।
– পরিবারে কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। খুঁটিনাটি বিষয়ে অনড় অবস্থান নেবেন না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালানো, ফুল স্পিডে ফ্যান ছাড়া, ফুল ভলিউমে গান শোনা, অন্ধকার ঘরে ঘুমানো, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ছাড় দিতে আন্তরিক হোন।
– নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করুন। ঘরের কাজে সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন।
– পরিসর যত ছোটই হোক, পরিবার একটি সঙ্ঘ। তাই অপরের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় রাখুন।
– পারিবারিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে চেষ্টা করুন। মত না মিললেও অধিকাংশ সদস্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং সেভাবে কাজ করুন।
– পরিবারের সদস্যদের বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন ও শুভেচ্ছা জানান।
– কাউকে হেয় করে বা খোঁচা দিয়ে কথা, কূটতর্ক, নেতিবাচক মন্তব্য পুরোপুরি বর্জন করুন।
– কখনো কারো রান্নার নিন্দা বা সমালোচনা করবেন না।
– ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার আলোকে পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ে তুলুন এবং পারিবারিকভাবে সেগুলোর চর্চা করুন।