ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানী দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করেছে প্রতিবাদী কৃষকরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর শুরু হওয়ার কথা ছিল ট্র্যাক্টর মিছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই সিংঘু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে কৃষকরা।
আনন্দবাজার জানায়, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ট্র্যাক্টর নিয়ে রাজধানীতে ঢুকতে শুরু করেছে কৃষকরা। টিকরি সীমানার চিত্রও একই রকম। হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মিছিল শুরু করে দিয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তিনটি নির্দিষ্ট পথে ট্র্যাক্টর মিছিল করার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার সে সব সরকারি নির্দেশনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে সকাল সকাল মিছিল শুরু করে দেয় আন্দোলনরত কৃষকরা।
সিংঘু সীমান্তে পাঁচ হাজার কৃষকের জমায়েতের সামনে উপস্থিত সামান্য সংখ্যায় পুলিশ সদস্যরা রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে।
এছাড়া পশ্চিম দিল্লির টিকরি সীমান্তেও ছবিটা কিছুটা একই রকম ছিল সকাল থেকে। যদিও সেখানে কৃষক নেতারা ঘোষণা করেন, প্রতিবাদীরা যেন শান্তি বজায় রাখে।
একাধিক সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, সকাল থেকেই হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লি পুলিশ রাজপথে সরকারি প্যারেডের পর কৃষকদের মিছিল শুরু করার কথা বলছিল।
শেষ পর্যন্ত কৃষকরা সকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছে প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ পরে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দফায় দফায় কৃষক ও নরেন্দ্র মোদি সরকারের মধ্যে বৈঠকের পরও ভারতের নয়া কৃষি আইন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে কোনো সমাধান আসেনি। সম্প্রতি সরকার দেড় বছরের জন্য এ আইন কার্যকর না করার প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হয়নি কৃষকেরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এ পর্যন্ত দুই পক্ষের মাঝে ১০ দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার কৃষি আইন প্রত্যাহার অনড় কৃষি সংগঠনগুলোর দাবি আংশিক মেনে শেষ বৈঠকে সরকারের প্রস্তাব ছিল ওই আইন দেড় বছর কার্যকর না করার। সেই প্রস্তাবেও সায় দেয়নি কৃষক সংগঠনগুলো।