spot_img

অমিত শাহের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় বিপাকে টুইটার

অবশ্যই পরুন

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করার ঘটনায় মোদি সরকারের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষকে। গত নভেম্বর মাসে কেন অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে ব্লক করা হয়েছিল? বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় টুইটারের কর্মকর্তাদের।

গত নভেম্বর মাসে অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় সাময়িক সময়ের জন্য। পরে অবশ্য তা চালু করে দেয়া হয়। এ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের জবাবে টুইটার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ছবির কপিরাইট ইস্যুর কারণে তাদের পলিসি অনুযায়ি সাময়িক ভাবে ব্লক করা হয়েছিল অ্যাকাউন্টটি। প্রসঙ্গত, বিদ্বেষমূলক বার্তা ও প্ররোচনামূলক পোস্টের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলার ঘটনায় টুইট করে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়া হয়। যে ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়।

এদিকে, ভারতে টুইটারে উস্কানি, প্ররোচনামূলক পোস্ট করার অভিযোগে প্রায়শই শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিরোধী দলগুলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর রটাচ্ছে বিজেপি, এ নিয়ে প্রায়শই সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কয়েকদিন আগে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিয়ে একটি টুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার ওই টুইটটি ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত করা হয়। এই প্রেক্ষিতে নভেম্বর মাসে শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করা নিয়ে যেভাবে টুইটার কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

এর আগে, টুইটারে জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক এলাকা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। এ ঘটনাতেও টুইটার কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিল সংসদীয় কমিটি। সে সময় টুইটার কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে সন্তুষ্ট ছিল না কমিটি। অন্যদিকে, গত বছরে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়ে যে, ভারতে নিজেরে ব্যবসা যাতে ধাক্কা না খায়, সেজন্য শাসকদলের নেতাদের করা বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার প্রধান আঁখি দাস। ফেসবুকের মতো টুইটারও বিজেপির সাথে সমঝোতা না করায় তাদেরকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টিওআই।

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ