শিম একটি শীতকালীন সবজি। দেশের সবখানে এটির চাষ করা হয়ে থাকে। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের এ সবজি। যে কোনোভাবে, বিশেষ করে ভাজি, ভর্তা ও ঝোলে শিমের তুলনা কেবল শিমই। শিমের বীজের তরকারি বা ডাল যেমন উপাদেয়, তেমন সুস্বাদু।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী শিমে পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা ৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম এবং আঁশজাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
পরিপক্ব শিমে পানি কম থাকে এবং কিছু উপাদান বেশি থাকে। যেমন- শ্বেতসার ৬০ গ্রাম, আমিষ ২৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৮০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, তাপশক্তি ৩৪০ কিলোক্যালরি। শিমে থাকা এসব উপাদান আমাদের দেহের নানা উপকার করে। শিমে পাওয়া ভিটামিন-এ চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ রাখতে সহায়ক। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়াও রোধ করে শিম। শিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
শিম একদিকে পুষ্টি জোগায়, অন্যদিকে কোলেস্টেরল কমায়। শিমে থাকা উচ্চমাত্রার এ্যান্টি অক্সিডেন্ট সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও কার্যকর। শিমের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গর্ভবতীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিম খুবই উপকারী সবজি। শিমে থাকা খনিজ পদার্থ চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। নিয়মিত শিম খেলে ত্বকের রোগবালাই দূরে থাকে।