চীন কর্তৃক হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি ৫০ জন গণতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া।
রবিবার ( ১০ জানুয়ারি) দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় যৌথ এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছে হংকংয়ের জনগণের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ চীনের প্রতি। পাশাপাশি বিবৃতিতে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চীনের প্রতি আহবানও জানিয়েছে দেশসমূহ।
হংকংয়ে ২০২০ সালে চীনের জারি করা সুরক্ষা আইনের পর গত বুধবার হংকং পুলিশ গণহারে গ্রেফতার চালায়। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পাইনের জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা স্পষ্ট যে, জাতীয় সুরক্ষা আইন ভিন্নমত এবং বিরোধী রাজনৈতিক মতামত দমাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা হংকং এবং চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করছি তারা যেন গ্রেফতার ও আটকের ভয়ভীতি ছাড়া হংকংয়ের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সম্মান করে। ২০১৯ সাল থেকে চীনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছে হংকং।
তাদের বক্তব্য, ১৯৮৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করছে চীন। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পরে হংকংয়ের দায়িত্ব নেয় চীন। কিন্তু হংকংকে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়। বাণিজ্য এবং গণতন্ত্রের বিষয়ে চীনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হংকং। পশ্চিমের সঙ্গে তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ছিল।
কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে গণতন্ত্রে আঘাত হানছে চীন, এই অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে হংকং। আন্দোলন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দমনমূলক নীতি গ্রহণ করে চীন। কিছুদিন আগে তারই জেরে নতুন আইন বলবৎ হয়েছে। কিন্তু হংকংয়ে বিক্ষোভ আন্দোলন বন্ধ করতে পারছে না।খবর : এনডিটিভি।