ব্রিটেনে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনও দেশ থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট যাত্রী দেশ ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষা করাতে হবে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটেনের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শেপস।
এই নীতি এমন সময়ে গ্রহণ করা হলো যখন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৬২ জনের মৃত্যু হলো। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৬১৮ জন। ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিদিন ইংল্যান্ডে কয়েক হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শেপস বলেন, ‘যাত্রীরা করোনা পরীক্ষর নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না’। তিনি জানান, সরকার এই নীতি বাস্তবায়ন করতে চাইছে কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। যা বিজ্ঞানীদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে। আমরা খুব করে যাচ্ছি এই ভ্যারিয়েন্টকে দেশে প্রবেশ করতে না দিতে।
ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী জানান, আকাশ, নৌ, রেল ও স্থল পথে ব্রিটেনে প্রবেশের জন্য করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার এ নীতি আগামী সপ্তাহ থেকে ব্রিটেনে ও যত দ্রুত সম্ভব স্কটল্যান্ডে কার্যকর করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ব্রিটেনে প্রবেশের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দশ দিন সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।
এর আগে সেলফ আইসোলেশনের মেয়াদ ১৪ দিন থাকলেও এখন তা কমিয়ে আনা দশ দিন করা হয়েছে।
বিমান, রেল বা অন্য যে কোনও পথে ব্রিটেনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোথায় সেলফ আইসেলশনে থাকবেন তা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নির্দিষ্ট ফরমে জানাতে হবে।