মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন না যে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেবার মতো ক্ষমতা তার আছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, বাইডেনের জয় আটকাতে পেন্সকে চাপে রেখেছিলেন ট্রাম্প।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে লাঞ্চের সময়েই তাকে বিষয়টি অবহিত করেছিলেন পেন্স। বুধবার কংগ্রেসে ইলেক্টোরাল ভোট গণনার যৌথ সেশনে বাইডেনের জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ট্রাম্প বারবার পেন্সকে যখন চাপ দিচ্ছিলেন তখনই ট্রাম্পকে নিজের অপরগতা সম্পর্কে জানিয়ে দেন পেন্স।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ট্রাম্প টুইটে বলেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা রয়েছে কারচুপির আশ্রয় নিয়ে যারা জিতেছে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবার।
হাউজ ও সিনেট দ্বারা ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের আনুষ্ঠানিক ও সাংবিধানিকভাবে গ্রহণ এবং সত্যায়িত করে ফলাফল ঘোষণা করায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প তার টুইটের মাধ্যমে ভুল ভাবে পেন্সের ভুমিকাকে উপস্থাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কংগ্রেসে প্রেরিত ফলাফলকে পরিবর্তনের একতরফা ক্ষমতা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের নেই।
সাউথ ক্যারোলাইনার টিম স্কট এবং ওকলাহোমার জেমস এম ইনহোফ সহ অনেক রিপাবলিকান সিনেটর মঙ্গলবার নির্বাচনি ফলাফলের বিপক্ষে তাদের অবস্থান জানান।
পেন্স বুধবার রাজ্যগুলোর নাম ঘোষণার সভাপতিত্ব করবেন। যদি অন্তত একজন সিনেটর এবং একজন হাউজ সদস্য কোনো একটি রাজ্যের ফলাফলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করেন তাহলে নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে দুই ঘণ্টা ব্যাপী বিতর্ক হতে পারে। তারপর প্রত্যেকটা চেম্বার রাজ্যের ফলফল নির্ধারনে আলাদাভাবে ভোট প্রদান করবে।
ফলাফলের পরিবর্তন আনতে হলে হাউজ এবং সিনেট উভয়কেই তাতে সম্মত থাকতে হবে। এদিকে হাউজের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটদের হাতে থাকায় বাস্তবিকভাবে নির্বাচনের ফল পাল্টে যাবার সম্ভাবনা কার্যত পক্ষে খুবই কম। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে সব রিপাবলিকান সদস্য নির্বাচনি ফলাফল পাল্টানোর এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না।
জানা গেছে, হাউজ এবং সিনেট অন্তত তিনটি রাজ্য- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল নিয়ে আপত্তি জানাবেন যেখানে এই সব কটি রাজ্যে বাইডেন জয়ী হয়েছেন। আর এই তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য জয়ের মাধ্যমেই বাইডেন ৩০২ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন।