চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গত শুক্রবার দেশটির ৩ টেলিযোগাযোগ কোম্পানিকে অপসারণ করছে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (এনওয়াইএসই)। শনিবার এর প্রতিবাদ করে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এনওয়াইএসই যে ৩ প্রতিষ্ঠানকে অপসারণ করেছে সেগুলো হলো, চায়না মোবাইল, চায়না টেলিকম এবং চায়না ইউনিকম হংকং। এগুলো এর আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে পড়েছিল। কোম্পানিগুলোর যে শেয়ার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে রয়েছে তা বাতিলের কার্যক্রম এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। কোম্পানিগুলো মূলত চীনে বসেই আয় করে থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ঘোষণাকে অনেকটা প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে তুমুল উত্তেজনা। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শেয়ার বাতিল করা হচ্ছে। এই কোম্পানিগুলো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এবং চীনে তাদের প্রভাব ব্যাপক। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম নেই।
এ বিষয়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘এনওয়াইএসই’র এই সিদ্ধান্তে মার্কিন মূলধন বাজারের প্রতি সবার আস্থা ব্যাপকভাবে দুর্বল করে দেবে।’ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনটি টেলিকম সংস্থাকে অপসারণের সিদ্ধান্তটি জাতীয় নিরাপত্তার অপব্যবহার এবং বাজারের নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ওই
মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিজেদের কোম্পানির বৈধ অধিকার এবং স্বার্থের সুরক্ষার জন্য চীন প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে চীনের ফার্মগুলোর উপর খুব বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। রাষ্ট্রীয় তহবিলের পাশাপাশি তিনটি সংস্থাই এখনও হংকংয়ে শেয়ার বিক্রি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে। তবে এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বিরোধ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর আগে, চীনের যেসব কোম্পানি দেশটির সেনাবাহিনীর মালিকানায় রয়েছে কিংবা কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেসব কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করে একটি অর্ডারে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর ফলে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবে না। এর আগে পেন্টাগন প্রেসিডেন্টের কাছে চীনা কোম্পানির একটি তালিকা পাঠায়। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- টিকটক, হুয়াওয়ে ও টেনসেন্ট। জবাবে চীন নিজেও একটি কালো তালিকা তৈরি করেছিল।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।