ওয়েস্ট ইন্ডিজে একদিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে ক্রিকেটাররা। সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেন্ট ভিনসেন্টে আদায় করেছে ঈদ জামাত। তবে ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে কঠিন ছিল হালাল খাবার যোগাড় করা।
অনিশ্চিয়তা থেকে মুক্তি মিলেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশ দল রোববারই ঈদ উদযাপন করেছে। যদিও সেন্ট ভিনসেন্টে ঈদ সোমবার।
হোটেল স্যান্ডালসের সবুজ প্রান্তরে ঈদের জামাত হয়েছে। স্থানীয় ঈমাম পড়িয়েছেন সেই নামাজ। ক্রিকেটারদের দেখা গেছে পাঞ্জাবি ও জোব্বায়। দুই সাকিব পরেছিলেন জোব্বা। আর শরিফুল, মুস্তাফিজ, রিশাদ, শেখ মেহেদীরা রঙ্গীন ছিলেন পাঞ্জাবিতে।
সুপার এইটে উঠলে সোমবারই ধরতে হবে এন্টিগার বিমান। আর রোববার নেপালের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এই দুই চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পুরোনো অবস্থান থেকে সরে এসে আগেভাগে নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চেয়েছে বাংলাদেশ দল।
নিজেদের গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকে ঈদ উদযাপন করেছে ক্রিকেটাররা। কুরবানি দেয়াও অসম্ভব প্রায়। সেন্ট ভিনসেন্টে মুসলমান মাত্র একশ পনেরজন। হালাল খাবার যোগাড় করা যেমন কঠিন তেমনি কঠিন ঈদের আমেজ খুঁজে পাওয়া।
![](https://backoffice.channel24bd.tv/media/imgAll/2024June/uploads/Eid1_1718547451.jpg)
তারপরও দলের স্থানীয় লিয়াজোঁদের সহযোগিতায় বিশেষ খাবার খেয়েছে ক্রিকেটাররা। হালাল মাংসের জন্য ছাগল জবাই থেকে মাংস বানানো সবই হয়েছে মুসলমানদের অধীনে। ৩৫ জনের বহরের জন্য রান্না করেছেন সিস্টার ফাতিমা। ভিনসেন্টিয়ান ফাতিমা উপমহাদেশের খাবার সরবরাহের জন্য বিখ্যাত।
সকালের নাস্তায় ছিল পরটা, বুটের ডাল, ভুনা মুরগি, ডিম ভাজি, সবজি, হালুয়া। আর দুপুরে পোলাও, খাসির ভুনা, চিকেন টিক্কা মাসালা, ফালাফাল, নান ও মিক্সড সালাদ।
ঈদের বিশেষ খাবার খেয়েই হোটেল থেকে মাঠে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। নেপালের সঙ্গে জিতলে ঈদের আনন্দ আরও বহুগুন বেড়ে যাবে ক্রিকেটারদের এবং দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।