গুমের মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন না জানিয়ে ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।
এর আগে আগ্রহ করে শেখ হাসিনার মামলায় যুক্ত হওয়ার পর ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে আদালতে না আসায় জেড আই খান বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে দ্রুত তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন না বলে নিঃশর্ত ক্ষমা চান আইনজীবী জেড আই খান পান্না। একপর্যায়ে গুমের ২ মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমীর হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। সকালে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এই শুনানি শুরু করেন।
এ সময় আসামিপক্ষ সময় চাইলে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে জানান, তারা তাদের শুনানি করে ফেলতে চান। তারপর আসামিপক্ষকে সময় দিলে প্রসিকিউশনের আপত্তি নেই।
টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন পলাতক।
আলোচিত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানিকে ঘিরে এদিন সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক ও বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাকে। তারা হলেন- কর্নেল এ কে এম আজাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এর আগে সকালে গুমের মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাকে হাজিরকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

