spot_img

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হেসেখেলে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

অবশ্যই পরুন

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই লড়াই হয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলেও পরের দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাগ্য নির্ধারণী। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ডানেডিনে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। জ্যাকব ডাফির বোলিং তোপের মুখে পড়ে ১৮.৪ ওভারে মাত্র ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ২৬ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় কিউইরা।

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রানের যোগ করেন রবিনসন ও কনওয়ে। রোমারিও শেফার্ডের বলে বোল্ড হয়ে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন রবিনসন। তার ২৪ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। এরপর ৩৭ রানের জুটি রাচিন রবীন্দ্র ও কনওয়ের। সেটি ভাঙেন শামার স্প্রিঙ্গার। রাচিন তার বলে ক্যাচ দেন রাদারফোর্ডকে ব্যক্তিগত ১৬ ও দলীয় ১০৬ রানে।

এরপর অবশ্য আরকোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দেন ৪২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকা ওপেনার কনওয়ে। ১৩ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্ক চাপম্যান।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবিয়রা। দলীয় ১২ রানে কাইল জেমিসন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে অলিক অ্যাথানেজকে ফিরিয়ে শুরু করেন আঘাত। এরপর সেই ধারায় যোগ দেন স্বাগতিকদের বাকি বোলাররাও।

২১ রানে উইন্ডিজ হারায় ৪ উইকেট। পরের ৩ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। একে একে ফেরান অধিনায়ক শাই হোপ (১১), আকিম অগাস্ট (8) ও শেরফান রাদারফোর্ডকে (০)। পরে ব্রেসওয়েল রভম্যান পাওয়েলকে (১১) ফেরালে ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬.২ ওভারেই বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর সম্ভাবনা অস্তমিত হয়ে যায় সফরকারীদের।

৩৮ রান করে রস্টন চেজ কিছুটা চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি। নিশামের বলে তাদ বিদায়ের পর ২০ রান করা জেসন হোল্ডার ইশ সোধির শিকারে পরিণত হন আর ম্যাথু ফোর্ড রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্যান্টনারের শিকার হলে ৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়রা।

শেষ ভরসা হিসেবে রোমারিও শেফার্ড ৩৬ রান করার পর দিনের সেরা বোলার ডাফির চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। দলীয় ১৩৭ রানে শেফার্ড ফিরলে আর মাত্র ৩ রান যোগ হয় উইন্ডিজদের বোর্ডে। নিশাম জেইডেন সিলসকে ফিরিয়ে ১৪০ রানে অলআউট করেন সফরকারীদের। যা পরে খুবই সহজ লক্ষ্য হিসেবে ধরা দেয় স্বাগতিকদের সামনে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব ডাফি। জোড়া উইকেট পেয়েছেন জিমি নিশাম। সমান একটি করে শিকার জেমিসন, ব্রেসওয়েল, স্যান্টনার ও সোধির। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও জ্যাকব ডাফি।

সর্বশেষ সংবাদ

হামজার জোড়া গোলেও নেপালকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ

ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। দলের সবচেয়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ