spot_img

খাওয়ার পরও ওজন বাড়ায় না এমন ২০ খাবার

অবশ্যই পরুন

সুস্থ থাকার জন্য বিশেষজ্ঞরা সাধারণত প্রচুর পানি, বিভিন্ন ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেও বলা হয়। তবে ফিটনেসের যুগে অনেকেই ওজন কমানোর সঠিক উপায় খুঁজে চলেছেন।

এমন সময় ইনস্টাগ্রামের পেজ ‘ফিট মম ক্লাব’ ২০ ধরনের খাবারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই খাবারগুলোতে ক্যালরি প্রায় শূন্য এবং এগুলো ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

ফিট মম ক্লাব তাদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বলেছে, খুব বেশি ক্যালরি যোগ না করেই পেট ভরে ব্রেকফাস্ট, মধ্যাহ্নভোজ ও রাতের খাবার খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারগুলো ওজন কমানোর জন্যও দুর্দান্ত হতে পারে। তাদের আরো দাবি, ব্যায়াম এবং ঘুমও গুরুত্বপূর্ণ! তবে, ফাইবার, প্রোটিন ও চর্বি সমৃদ্ধ এই খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখতে সাহায্য করবে।

তারা আরো উল্লেখ করেছে, যদিও শূন্য ক্যালরিযুক্ত কোনো খাবার নেই, তবে অনেক খাবারে ক্যালরি খুব কম এবং একটি স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ-এর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সেই খাবারগুলো হলো—

শাকসবজি
১. শসা, ২. বোতল আকারের করলা, ৩. গোল করলা, ৪. করলা, ৫. মেথি পাতা, ৬. পালং শাক, ৭. বাঁধাকপি, ৮. ব্রকলি, ৯. জুচিনি, ১১. গাজর।

ফল
১১. পেঁপে, ১২. পেয়ারা, ১৩. আপেল, ১৪. নাশপাতি, ১৫. স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি।

মশলা এবং শাকপাতা
১৬. কারি পাতা, ১৭. ধনে পাতা, ১৮. আদা, ১৯. রসুন, ২০. হলুদ।

তারা আরো বলেছে, এই সবজিতে ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। পেঁপে ও পেয়ারার মতো ফল হজমে সাহায্য করে পিসিওডি-র জন্যও এগুলো ভালো।

আদা, রসুন ও হলুদের মতো মসলা এবং ভেষজ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

এই টিপস কি আদৌ কাজ করবে?
এই টিপসগুলো সত্যিই কাজ করবে কি না, কোনো অসুবিধা হবে কি না, সে সম্পর্কেই জানিয়েছেন ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. রাকেশ গুপ্ত। তারও দাবি, কম ক্যালরিযুক্ত খাবার শুধু ওজন কমাতেই সহায়তা করে না বরং আপনার পেট ভরে রাখতেও সাহায্য করে। কম-ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলোতে প্রায়শই পানি ও ফাইবার বেশি থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, পালং শাক দুর্দান্ত, কারণ এটি পুষ্টিতে পূর্ণ এবং সালাদ বা স্মুদিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

জুচিনি ও ফুলকপির মতো শাক-সবজি নুডলস বা ভাতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আপনাকে কম ক্যালরিসহ তৃপ্তিদায়ক খাবার দেয়।

তবে, এর সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার একত্রিত করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন তিনি। যেমন, কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের সঙ্গে গ্রীক দই, মসুর ডাল, কালো মটরশুটি ও চিকেন ব্রেস্টের মতো চর্বিহীন মাংসে প্রোটিন বেশি থাকে। এগুলো খাওয়া যায়।

অ্যাভোকাডোস ও অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার আপনাকে খাবারের পরে সন্তুষ্ট বোধ করতে সহায়তা করে। ফাইবার, প্রোটিন ও ফ্যাটের মিশ্রণ হজমকে ধীর করে দেয়, আপনার রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল রাখে এবং খাবারের লোভও কমায়।

ডা. রাকেশের মতে, এই পদ্ধতি আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

ব্রেকফাস্ট : দিনের শুরুতে গ্রীক দই ও বেরি দিয়ে ওটমিল খেতে পারেন।
দুপুরের খাবার : বিভিন্ন সবুজ শাক, গ্রিলড চিকেন, ছোলা ও বেশি করে সালাদ।
রাতের খাবার : মেরিনারা সস ও টার্কি মিটবলের সঙ্গে জুচিনি নুডলস।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্পের ভিসা ফি ঘোষণার পর ভিসাপ্রতাশ্যাদীদের সুখবর দিলো চীন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলোকে এখন থেকে এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য প্রতি বছর ১ লাখ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ