পুরুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন এক জরুরি উপাদান। এটি ‘পুরুষ হরমোন’ হিসেবেও পরিচিত। টেস্টোস্টেরন শরীর গঠন, মনমেজাজ থেকে শুরু করে যৌনজীবনে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে — মিষ্টি খেলে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়। মিষ্টি নিয়মিত খেলে আসলেই টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যেতে পারে। তবে মিষ্টি ছাড়া্ও আরও কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমিয়ে দিতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে-
১. অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার
মিষ্টি অনেকেরই পছন্দনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। রুচি এবং সুস্বাদের জন্য প্রতিদিন খানিকটা মিষ্টিমুখ করা যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে।
২. কোমল পানীয়
অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় হলো কোল্ড ড্রিংকস। তবে এই কোল্ড ড্রিংকস শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কোমল পানীয় বা চিনিযুক্ত পানীয় শুক্রাণুর সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে। ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, নিয়মিত কোমল পানীয় পান করা হলে সেটা পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে যেতে পারে।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার
ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবারসহ প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই খাবারগুলো দ্রুত ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব খাবার নিয়মিত খেলে হার্টের অসুখ, প্রেশার এবং কোলেস্টেরলের মাত্র বেড়ে যায়। এমনকি কমতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা।
৪. পুদিনা
পুদিনা পাতা শরীরের জন্য উপকারী হলেও হরমোনের জন্য উপকারী নয়। পুদিনা পাতায় মেন্থল থাকে, যার অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেনিক উপাদান টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে বাধা দেয়। দিনে দুইবার পুদিনা পাতা চা পান করলে পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার কি আসলেই টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়
৫. অ্যালকোহল
নিয়মিত মদ্যপান করলেও শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়। এছাড়া হার্ট, লিভার ইত্যাদির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত মদ্যপান শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে। মদ্যপান কেবল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে তা নয়, এই অভ্যাস যৌনজীবনেও প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: হেলথ লাইন, মেডিকেল নিউজ টুডে